কিডনি ছোট হওয়ার কারন - কিডনি রোগের ঔষধের নাম

কিডনি ছোট হওয়ার কারন সমূহ নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হবে। কিডনি ছোট হওয়ার কারন সমূহ সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তাহলে তথ্যবহুল গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। আসুন দেখে নেয়া যাক, কিডনি ছোট হওয়ার কারন সমূহ।
কারো কারো স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট আকারে কিডনি থাকে। কখনো কখনো জন্মগত ত্রুটির কারণে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো যে সকল কারণে কিডনির ছোট হতে পারে সেই কারণসমূহ নিচে তুলে ধরা হবে। সেই সাথে এই আর্টিকেলটিতে কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়, কিডনি কত পয়েন্ট স্বাভাবিক এবং কিডনি রোগ কি ভাল হয় সে বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। কিডনি ছোট হওয়ার কারন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিম্নরূপ। 

কিডনি ছোট হওয়ার কারন সমূহ: 
  • অ্যান্টিফসফোলিপিড সিন্ড্রোম।
  • বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ। যেমন: যক্ষ্মা।
  • বিপাকীয় সিন্ড্রোম।
  • অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস বা সংকীর্ণ ধমনী।
  • রেনাল ধমনীর সংকীর্ণতা।
  • মূত্রনালীর সংকীর্ণতা।
  • সিকেল সেল ডিজিস।
  • ক্যান্সার।

কিডনি রোগের ঔষধের নাম

বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগে যে সকল ঔষধ ব্যবহার করা হয় সেই ঔষধ সমূহের তালিকা নিচে লিস্ট আকারে তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি কিডনি রোগের ঔষধের নাম নাম জানতে চান, তাহলে নিম্ন বর্ণিত লিস্টের ঔষধ গুলোর নাম দেখে নিতে পারেন। নিচে উল্লেখিত, কিডনি রোগের ঔষধের নাম দেখে দেখে ফার্মেসি থেকে ঔষধ ক্রয় করে সেবন করবেন না। 
কেননা আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত, শুধুমাত্র কিডনি রোগের ঔষধের নাম দেখে দেখেই ঔষধ সেবন করেন তাহলে শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তাই কখনোই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কিডনি রোগের ঔষধের নাম দেখে দেখে ঔষধ সেবন করা যাবে না। যাইহোক, কিডনি রোগের ঔষধের নাম নিম্নরূপ। 

কিডনি রোগের ঔষধের নাম: 
  • Karvela
  • Renosev
  • Renosev
  • Renvela
  • Sevel

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

কিডনি ছোট হওয়ার কারন সমূহ সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনাকে মনোযোগের সাথে পড়তে হবে। নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়লে আপনি কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। 

আপনার কিডনি ভালো রয়েছে কিনা তা কিছু লক্ষণের মাধ্যমে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। কিডনি স্বাভাবিক থাকলে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায় সেগুলো নিচে তুলে ধরা হবে। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত। 

আপনি যদি নিচে উল্লেখিত কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সমূহ জেনে রাখেন তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার কি আপনি সুস্থ হয়েছে কিনা। যাইহোক আসুন দেখে নেয়া যাক, কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সমূহ। 
  • পরিমিত পরিমাণে প্রস্রাব হওয়া: পরিমিত পরিমাণে প্রস্রাব হলে ধরে নিতে পারেন যে আপনার কিডনি সুস্থ এবং সতেজ রয়েছে। কেননা সুস্থ সবল কিডনি মানেই পরিমিত প্রস্রাব হবে। পক্ষান্তরে যদি আপনার কিডনির কোন সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে প্রস্রাব অত্যধিক পরিমাণে কমে যেতে পারে কিংবা বেড়ে যেতে পারে। 
  • স্বাস্থ্যসম্মত প্রস্রাব: প্রস্রাব স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া। স্বাস্থ্যসম্মত প্রস্রাব মানে হলো প্রস্রাবের রং এবং গন্ধ স্বাভাবিক হওয়া। যদি আপনি দেখতে পান যে, আপনার প্রস্রাবের রং এবং গন্ধ স্বাভাবিক রয়েছে তাহলে অবশ্যই আপনার কিডনি ভালো রয়েছে। 
  • শরীরে ফোলা ভাব না থাকা: কিডনি জনি কখনো সমস্যা দেখা দিলে শরীর ফুলে যেতে পারে। বিশেষ করে শরীরের নিচের অংশ অধিক পরিমাণে ফুলে যায়। সুতরাং এই ধরনের সমস্যা দেখা না গেলে, অবশ্যই আপনার কিডনি সবল রয়েছে। 
  • পেশিতে কোন ধরনের টান না থাকা: পেশিতে যদি কোন ধরনের টান কিংবা ব্যথা না দেখা দেয় তাহলে আপনার কিডনি সবল রয়েছে। 
  • স্বাস্থ্যসম্মত ত্বক: স্বাস্থ্যসম্মত ত্বক মানেই স্বাস্থ্যসম্মত কিডনি। কেননা কিডনির সমস্যা দিলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

কিডনি রোগ কি ভাল হয় - কিডনি সমস্যার সমাধান

কিডনি রোগ কি ভাল হয়? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো রোগের মাত্রা যদি সহনীয় পর্যায়ে থাকে তাহলে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করলে কিডনি রোগ ভালো হয়। অনেক ক্ষেত্রে জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগী অসুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে কিডনির অবস্থা যদি একেবারেই ড্যামেজ থাকে সেক্ষেত্রে কিডনি রোগ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কিডনি রোগ কি ভাল হয় কিনা? আশা করি তা জানতে পারলেন। নিচে কিডনি সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 
আপনি যদি ধৈর্য সহকারে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়েন তাহলে, কিডনি সমস্যার সমাধান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। আশা করি নিচে উল্লেখিত, কিডনি সমস্যার সমাধান সমূহ আপনার উপকারে আসবে। আপনার কিডনিকে সুস্থ রাখতে নিচে উল্লেখিত কিডনি সমস্যার সমাধান যথাযথ অনুসরণ করুন। কিডনি সমস্যার সমাধান সমূহ নিম্নরূপ। 
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
  • ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন
  • আপেল খান
  • জাতীয় খাবার খান
  • লেবুর শরবত পান করুন
  • মধুর সেবন করুন
  • নিমিত ব্লাড প্রেসার চেক করুন
  • খেজুর খান
  • ব্যথা নাশক ঔষধ এড়িয়ে চলুন

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস পেলে শরীরে,কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পায়। কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পেলে ধরে নিতে হবে যে, আপনার কিডনি খুবই খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে এই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এবং উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। 

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই যদি প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণ করেন তাহলে আশা করা যায় খুব সহজেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। যাইহোক নিচে কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ সমূহ: 
  • ক্রমাগত ওজন হ্রাস পাওয়া।
  • কারণ ছাড়াই শরীর দুর্বল হওয়া।
  • প্রসবের সাথে রক্ত বের হওয়া
  • রাত্রে অধিক পরিমাণে প্রস্রাব হওয়া।
  • তোকে চুলকানি হওয়া।
  • হাত পা চাবানো।
  • মাথাব্যথা।
  • লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা হওয়া (পুরুষের ক্ষেত্রে)।।
  • পা ফুলে যাওয়া।
  • চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া।

কিডনি কত পয়েন্ট স্বাভাবিক

রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রার একটি স্বাভাবিক পয়েন্ট রয়েছে। এই পয়েন্টের মধ্যে যদি আপনার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ঠিক থাকে, তাহলে কোন সমস্যা নেই। পক্ষান্তরে যদি রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা যদি কম কিংবা বেশি থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। নিচে কিডনি কত পয়েন্ট স্বাভাবিক সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 
কিডনি কত পয়েন্ট স্বাভাবিক, তা নারি এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়ে থাকে। পুরুষের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা হলো: প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ০.৬-১.২ মিলিগ্রাম ক্রিয়েটিনিন। পক্ষান্তরে নারীদের ক্ষেত্রে এর মাত্রা হলো: ০.৫-১.১ মিলিগ্রাম।

শেষ কথা

কিডনি ছোট হওয়ার কারন, কিডনি রোগ কি ভাল হয় কিনা এবং কিডনি কত পয়েন্ট স্বাভাবিক, আশা করি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। কেননা তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটিতে কিডনি ছোট হওয়ার কারন সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেই সাথে এই আর্টিকেলটিতে কিডনি কত পয়েন্ট স্বাভাবিক এবং কিডনি রোগ কি ভাল হয় কিনা? সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url