কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয়

আপনি কি জানেন কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয়? কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয় তা যদি না জেনে থাকেন তবে এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ এ পোস্টে কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয় তথা কাঁচা হলুদের সকল প্রকার ব্যবহারবিধি নিয়ে আলোচনা করব। সুতরাং মনোযোগ দিয়ে পুরো পোস্টটি পড়ে ফেলুন।
রান্নায় কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা হয় তা আমরা সকলেই জানি। রূপচর্চা সহ কাঁচা হলুদের আরো বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। আর কাঁচা হলুদ ব্যবহার করলে আপনি কাঁচা হলুদের গুনাগুন থেকে বেশ উপকৃত হতে পারবেন। এই পোস্টটি থেকে আপনারা কাঁচা হলুদ ব্যবহারের নিয়ম, কিভাবে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করবেন, কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয় ইত্যাদি প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবেন। 

পোস্ট সূচিপত্র - কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয় জেনে নিন

কিভাবে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করবেন

কাঁচা হলুদে অনেক গুণাগুণ রয়েছে যা আপনি কাঁচা হলুদে ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন। কিন্তু কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। অনেকেই কাঁচা হলুদ সরাসরি বেটে মুখে ইউজ করে, যা ভুল একটি পদ্ধতি এবং ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অতএব কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে চাইলে তা মধু, বেসন, দুধ, দই, লেবুর রস ইত্যাদির সাথে ব্যবহার করতে হবে। এতে কাঁচা হলুদ থেকে আরও দ্বিগুণ ফলাফল পাবেন। কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয় তাও আমরা জানব।

কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয়

রান্না থেকে শুরু করে রূপ চর্চাসহ বিভিন্ন কাজে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা হয়। কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয় ও কাঁচা হলুদের বিভিন্ন গুনাগুন সম্পর্কে এখন বিস্তারিত জেনে নিন। 
  • মুখের অবাঞ্ছিত বিভিন্ন ব্রণ বা দাগ ও চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে মুখে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা যেতে পারে। 
  • ত্বকে কাঁচা হলুদ মাখলে ত্বকের গ্লো বেড়ে যায়। হলুদের যে অ্যান্টিসেপটিক গুণ রয়েছে তা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। খানিকটা দুধের সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে তা ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় লাগালে বেশ উপকার পাবেন।
  • কোলেস্টেরল কমাতে ও রক্ত পরিশুদ্ধ করতে কাঁচা হলুদ বিশেষ ভূমিকা রাখে। পেট পরিষ্কার ও পায়খানা ক্লিয়ার করতে কাঁচা হলুদ খাওয়া যেতে পারে। 
  • কাঁচা হলুদের প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। রক্তে আয়রণের পরিমাণ কমে গেলে তা বাড়াতে বেশ কার্যকর হলো হলুদ। 
  • দাঁতের নানা রকম জীবাণু সংক্রমণ ও মাড়ির ক্ষয় রোধ করে হলুদ। কারণ কাঁচা হলুদে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। 
  • হলুদ আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ফলে খুব সহজেই দেহে খাবার পরিপাক হয়ে যায়। 
  • প্রতিদিন সকালে একটু দুধের সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে তা সকল প্রকার রোগের প্রতিরোধী হিসাবে কাজ করবে।

রূপচর্চায় কাঁচা হলুদ ব্যবহারের নিয়ম - রূপচর্চায় কাঁচা হলুদের ব্যবহার 

প্রিয় পাঠক! আপনারা ইতোমধ্যে কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। এবার রূপচর্চায় কাঁচা হলুদ ব্যবহারের নিয়ম তথা ব্যবহারবিধি জেনে নিন।
  1. হলুদ ও ময়দা: শরীরের যে কোন স্থানের ত্বকের জন্য হলুদ এবং ময়দা মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন। এটি ত্বকের জন্য সংবেদনশীল ও উপকারী। একই সাথে ত্বকের তৈলাক্ত ভাবও দূরও করে। হলুদ ও ময়দার সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তারপর ত্বকে লাগিয়ে পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল হতে শুরু করবে।
  2. হলুদের সাথে লেবুর রস ও মধু: হলুদের সাথে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা মুখ থেকে ব্রণ দূর করবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে হলুদের সাথে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে গলা, মুখ ও অন্যান্য স্থানে ব্যবহার করুন।
  3. হলুদ ও নারিকেল তেল: এই দুটিতে রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান। নারিকেল তেল খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। খাঁটি নারিকেল তেলের সঙ্গে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে লাগালে ত্বকের লালচে ভাব, জীবাণু সংক্রমণ ও শুষ্কতা কমে যায়। 
  4. হলুদ ও দুধ: ত্বকের ক্ষতি করে এমন উপাদানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলুদ ও দুধের মিশ্রণের জুরি মেলা ভার। কাঁচা দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে তা ত্বকের বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। 
  5. হলুদ ও জলপাইয়ের তেল: হলুদ জলপাই তেল ভালোভাবে মিশিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মালিশ করুন। এতে নতুন কোষ বৃদ্ধি পাবে। এই মিশ্রণ ব্যবহার করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার ত্বক অনেক নমনীয় হয়ে গেছে।

কাঁচা হলুদ গুঁড়ো করার নিয়ম 

কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয় আপনারা ইতোমধ্যে অনেকটাই অবগত হয়েছেন। কিন্তু কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার উপযোগী করার জন্য গুড়ো কিভাবে করবেন তা কি জানেন? এবার কাঁচা হলুদ গুড়ো করার ধাপ সমূহ জেনে নিন।
  1. প্রথমত জমি থেকে তরতাজা হলুদ সংগ্রহ করতে হবে।
  2. অতঃপর হলুদ ভালোভাবে ধুয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
  3. ভালোভাবে সেদ্ধ হয়েছে কিনা তা কাঁটাচামচ দিয়ে চাপ দিয়ে দেখে নিতে হবে।
  4. সেদ্ধ হওয়ার পর জল ঝড়িয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর ছুরি দিয়ে ছোট ছোট করে হলুদ কেটে নিতে হবে।
  5. তারপর রোদে দিয়ে ৪/৫ দিন ভালোভাবে শুকিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
  6. হলুদের টুকরোগুলো একদম শুকিয়ে খটখটে হয়ে গেলে তা মিক্সিতে দিয়ে ভালোভাবে গুড়ো করে নিতে হবে। চালুনিতে একবার ছেঁকে নেওয়ার পরই প্রস্তুত হয়ে যাবে কাঁচা হলুদের গুড়া।

উপসংহার - কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয়

সুপ্রিয় পাঠক! আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনারা কাঁচা হলুদ কি কাজে ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ কাঁচা হলুদের সকল গুনাগুন ও কার্যাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়েছেন। পোস্টটি পড়ে উপকৃত হলে এখনি শেয়ার করে ফেলুন। আরও নিত্যনতুন চমকপ্রদ সব পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। @23891

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url