ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়

ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় এ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় এর বিস্তারিত সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় তা সম্পর্কে জেনে নিন।
ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় এর বিস্তারিত সম্পর্কে আপনাদের জন্য নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় তা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়

ইউরিক এসিডের উপসর্গ গুলো কি

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি হল ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় এর বিস্তারিত সম্পর্কে। আর এই ধাপটির মাধ্যমে জানতে পারবেন ইউরিক এসিডের উপসর্গ সম্পর্কে। বহু মানুষের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে জানা থাকে না, শরীরে ইউরিক এসিডের বৃদ্ধের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে। আর তার ফলেই চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে যায়।

শরীরে যদি ইউরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আর এই উপসর্গগুলো সম্পর্কে আপনাদের জানা জরুরী। কারণ ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়ার আগে যদি চিকিৎসা শুরু করা হয় তাহলে তার উপশমও হয় দ্রুত।
ইউরিক এসিডের উপসর্গ গুলো হলো:
  1. শরীরে ইউরিক এসিড বৃদ্ধির নানা লক্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পা ফুলে যাওয়া। ইউরিক এসিড বাড়ার ফলে পা ফুলে যায়।
  2. এছাড়াও গাঁটে ব্যথা, পেশিতে টান ধরা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে বুঝে নিতে হবে শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
  3. অনেক সময় ইউরিক এসিড বাড়ার ফলে পায়ের পাতা ফুলে যায়।
  4. ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পেলে তার প্রভাব পড়তে পারে কিডনিতেও। এর ফলে কিডনির নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  5. আবার অনেক সময় মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব ও প্রসাবের দুর্গন্ধের মত সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
আশা করি তাহলে ইউরিক এসিডের উপসর্গ গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

ইউরিক এসিডের ঘরোয়া চিকিৎসা

আজকাল আমরা অনেকেই শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার সমস্যার সঙ্গে পরিচিত। কারণ শরীরে ইউরিক এসিডের উচ্চমাত্রার উপস্থিতির হলে গেটের বাতের মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাটুসহ বিভিন্ন অস্থি সন্ধিতে ইহুদি কেসের জমা হতে থাকে এবং তাতে অস্থিসন্ধি ফুলে যায় এবং ব্যথা হতে থাকে।

সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে রক্তে ইউরিক এসিড এর পরিমাণ বেড়ে যায়। কিছু কিছু ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে ইউরিক এসিড কমানো সম্ভব। যেগুলো সম্পর্কে আপনাদের জানা জরুরি।

ইউরিক এসিডের ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো হলো:
  1. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার কিনুন। এক চা চামচ ভিনেগার নিন, এক গ্লাস জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করে ফেলুন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এ মিশ্রণ পান করুন নিয়মিত। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার শরীর থেকে দূষিত পদার্থ নিষ্কাশনে সাহায্য করে।
  2. অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ থেকে দূরে থাকুন। খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি' রাখুন। নিয়মিত লেবু বা ভিটামিন সি-যুক্ত ফল খান। ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে দারুন কাজ করে।
  3. নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এই জন্য হাঁটা বা সাঁতার বেছে নিতে পারেন। ওজন কোনভাবে বাড়াতে দেবেন না। রক্তচাপ ও হৃদরোগ থাকলে ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  4. বাজারে পাওয়া জুস, কোমল পানীয় ও লসসি খাওয়া একদমই ঠিক না। এতে বিপাকে সমস্যা হয়।
  5. চায়ের বদলে কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কাপ কালো কপি খেলে শরীর ভালো থাকে। তবে এতে যাতে কিডনির সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়

অনেকেই জানেন না ইউরিক এসিডের লক্ষণ কি কিংবা কেন এ সমস্যায় ভুগছেন। অতিরিক্ত পরিমাণে পিউরিন যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে সৃষ্টি হয় ইউরিক এসিড। আর এই ইউরিক এসিড বাড়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কিছু কিছু লক্ষণ আছে যেগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেছে।
ইউরিক এসিডের লক্ষণ গুলো হলো:
  1. ইউরিক এসিড বাড়লে ঘন ঘন প্রসাব হয়। কারণ কিডনি চায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক এসিডকে বের করতে। সেক্ষেত্রে ইউরিক এসিডের মাত্রা অত্যাধিক বাড়লে প্রসাবের সঙ্গে রক্ত বের হতে পারে। এছাড়াও হতে পারে ইউটিআই বা প্রসাবে ইনফেকশন।
  2. আবার অনেক সময় ভুল খাবার খাওয়ার ফলেও ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মুরগি, মাছ ও মাংস খাওয়ার ফলে শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
  3. ইউরিক এসিডের সমস্যা বাড়লে প্রসাবের সময় জ্বালা হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রচন্ড জ্বালাভাবের কারণে অনেকেই প্রসাব করতে চান না। এর থেকে আবার হতে পারে কিডনিতে পাথর। তাই প্রসাবে যে কোন সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ইউরিক এসিড বাড়ায় যেসব খাবার

ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় এর বিস্তারিত নিয়ে আমাদের আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেল। বেশি পরিমাণে প্রোটিন বা আমিষ খেলে অথবা অ্যালকোহল জাতীয় খাবার বেশি খেলে দেহে পিউরির নামক নন এসেনসিয়াল অ্যামাইনো এসিড তৈরি হয়। এই পিউরিন থেকে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। রেডমিট মাংস খাওয়ার ফলে শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়।

বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল এর মাত্রা পরিবর্তিত হয়। তবে বিয়ারে বিশেষ করে পিউরিন বেশি থাকে। আর তাই অতিরিক্ত পরিমাণে বিয়ার খাওয়ার ফলে শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে যায়। সামুদ্রিক খাবার ও কিছু মাছে সর্বোচ্চ পরিমাণে ইউরিক এসিড থাকে এবং নিয়মিত এগুলো খাওয়ার ফলে শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলেও শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তাই এগুলো খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং প্রতিদিনের খাবারের চাট বানিয়ে নিয়ম মোতাবেক খাবার খেতে হবে।

উপসংহার

আজকে আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় ছিলো ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় এর বিস্তারিত সম্পর্কে। অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন ও আমিষ যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে যায়। যার ফলে অতিরিক্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। প্রতিদিনের প্রোটিনযুক্ত খাবারের একটি তালিকা বানাতে হবে এবং তালিকা অনুযায়ী খেতে হবে।

কারণ শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত অথবা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। আর নিয়ম মোতাবেক খাবার খাওয়ার ফলে ইউরিক এসিড বাড়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

আশা করি তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ইউরিক এসিড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের সাথে বেশি বেশি করে শেয়ার করুন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url